ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। উচ্চতায় ১৪ বছরের মেয়েদের চেয়ে কিছুটা বেশি। ৫ ফুট ৪.৫ ইঞ্চি। অবশ্য উচ্চতা বেশি হওয়ায় ভালো লাগত। নিজেকে বড় বড় মনে হচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা করল আমার অতিরিক্ত ওজন। ৮০.৫ কেজি। অতিরিক্ত এই ওজনের কারণে নানাবিধ মেয়েলি সমস্যা ও দেখা দিচ্ছিল। আমার বড় ভাই আরিফুজ্জামান শান্ত। পড়াশুনার করতো ঢাকায়। ভাইয়ার ওজন অনেক বেশি ছিল। ১০৪ কেজি। তাই ভাইয়া নাকি ডায়েট করছে শুনতাম। এক ছুটিতে ভাইয়া বাড়িতে এলো। তাকে দেখেতো আমি অবাক। ভাইয়া এত সুন্দর ফিগারের হয়ে গেল কিভাবে। তখন ভাইয়া আমাকে ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের কথা খুলে বলল। কিন্তু লেখাপড়ার অনেক চাপ থাকায় ঢাকা গিয়ে উনাদের সাথে যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। তখন ভাইয়া কথা বলে একদিন নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের সাথে আমার সবসময় ফোন কাউন্সেলিং হয়েছে। ওনাদের ফোন কাউন্সেলিং সিস্টেম রয়েছে। আমার খাবারের ধরণ, পড়াশোনার শিডিউল, অন্যান্য সব সমস্যা শুনে আমার ডায়েট প্ল্যান ২ দিন পর ই—মেইল আইডি ও কুরিয়ার সার্ভিস দুইভাবে আমার পাঠিয়ে ছিলেন। ডায়েট প্ল্যানের পাশাপাশি তাদের অন্যান্য গাইডলাইনসমূহ আমার খুব উপকারে এসেছে। ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকল। নিজেকে হালকা মনে হচ্ছিল। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে কি খাব তাও বলে দিয়েছিলেন। পড়াশুনাতেও দেখতে পেলাম বেশ এনার্জি পাচ্ছিলাম। পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বেড়াতে যাই। আমাকে বলা হয়েছিলো ঢাকা আসলে যেন অবশ্যই উনাদের সাথে দেখা করি। অফিসে যাই। তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আবার কাউন্সেলিং করেন এবং উৎসাহ দেন। অবশেষে ৬ মাসে আমি ১২.৫ কেজি ওজন কমিয়ে আমার কাঙ্খিত ওজন ৬৮ কেজিতে আসি।
আমার বয়স ১৮ বছর না হওয়াতে তারা কিন্তু আমাকে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ডায়েট প্ল্যান দেননি। বয়ঃসন্ধিকালে ওজন বেড়ে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো দ্রুত ওজন না কমিয়ে পযার্প্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন কমানোর কথা আগেই বলেছিলেন। বলেছিলেন আমার উচ্চতাও কিছুটা বাড়তে পারে। সত্যিই আমার উচ্চতা ১/২ ইঞ্চি বেড়েছে। ওজন কমানোর সাথে সাথে আমার যে মেয়েলি সমস্যাও কমে যাবে ভাবিনি। ওজন কমানোর ফলে আমি সে সুফল ভোগ করছি। ধন্যবাদ তাদেরকে এবং সেই সাথে আমার ভাই আরিফুজ্জামান শান্তকে যিনি এখানে এসে ৩২ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.