ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণ করুন আজই অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে...
ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের মরণ থাবা এখন যেন ঘরে ঘরে। আমরা বেশিরভাগ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এক জায়গায় বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ, শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওবেসিটিতে আক্রান্তের গ্রাফ আজ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসাবে ওবেসিটিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আপনি সেই তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই সাবধান হউন।
যেকোনো বয়সেই এই সমস্যায় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। মাঝবয়সীদের মধ্যে এর প্রভাবের সংখ্যা বাড়ছে, বয়ঃসন্ধিকালীন শিশুরাও শিকার হচ্ছে। অত্যধিক মাত্রায় ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওবেসিটি বাড়ছে। তা ছাড়া শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব, চিপস, পিৎজা, বারগার, কোল্ডড্রিঙ্কস আইসক্রিমের মতো ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডের প্রতি ঝোঁক, এবং কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের সমস্যা হলে মেদ বৃদ্ধি পায়।
কাজের ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন কারণে বেশি মানসিক চাপ, অপর্যাপ্ত ঘুম, ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, বেশি বয়সে গর্ভবতী হওয়া এগুলির কারণেও বিএমআই বেড়ে যায়। ছোটদের পড়াশোনার চাপ, খেলাধূলার জায়গার অভাব, অনলাইনে দীর্ঘক্ষণ গেমের নেশা, ইনস্ট্যান্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাসেও বাড়ছে। এমনকি সফট এবং হার্ড ড্রিঙ্ক-এর জন্যও ওবেসিটি দেখা দেয়।
ওবেসিটির কারনে রক্তচাপ বৃদ্ধি, ক্লান্তি, শারীরিক অবসাদ, ঝিমুনি ভাব, হাঁটুর সমস্যা, কোমরে যন্ত্রণা, স্তন ক্যান্সার, স্ট্রোক, কোলন ক্যান্সার, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, উত্তেজনা, স্লিপ অ্যাপনিয়াসহ মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও আছে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস, বন্ধ্যাত্ব, নিদ্রাহীনতা, মানসিক অবসাদ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। ওবেসিটির সঙ্গে রক্তে গ্লুকোজ, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর জন্য কয়েক ধরণের ক্যানসারের আশঙ্কাও দেখা যায়।
ওবেসিটি থেকে বাঁচার প্রধান পথ হল খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা। ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত বহু মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও জীবনধারা পরিবর্তনে সচেতনতা আনতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, এ প্রতিষ্ঠান ২০০৪ সালে প্রথম একেবারেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, দেশি খাদ্যের পুষ্টিগুণের প্রযোজনীয়তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর প্রয়োগ, স্বাস্থ্যকর রেসিপি প্রণয়ন এবং পুষ্টিবিদদের জন্য নিউট্রিশান এন্ড ডায়েটারি ট্রনিং কোর্স চালু করে। বর্তমানে বহু নিউট্রিশনিস্ট আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরে যারা আমাদের ডায়েট প্ল্যান ও ফলোআপে দীর্ঘদিন যাবত সুস্থ আছেন, তারাই মূলত আমাদের প্রাণশক্তি।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও মানুষ সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম করছেন না। অপর্যাপ্ত ব্যায়ামের কারনেও অনেকেরই ওজন বেড়েছে বহু গুণ। এসব সমস্যা সমাধানে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার অনলাইনে ভিডিও কাউন্সেলিং এবং নিজস্ব কার্যালয়ে সরাসরি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা চালু রেখেছে। পূর্ণ কাউন্সেলিং ছাড়া ডায়েট প্ল্যান দেয়া হয় না। ডায়েট মানে কম খাওয়া বা না খাওয়া নয়।
আপনার শারীরিক সমস্যা জানিয়ে অনুগ্রহ করে আগে থেকে ফোনে জেনে নিন নির্দিষ্ট ফি এবং নির্দিষ্ট কনসালট্যান্টের সঙ্গে কাউন্সেলিংয়ের সময় বা সরাসরি সাক্ষাতের সময়। এপয়েন্টমেন্ট ব্যতীত ফোনে কোন পরামর্শ দেয়া হয় না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার শরীরের বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী করণীয়।
কাউন্সেলিং পরবর্তী ডায়েট প্ল্যান, এক্সারসাইজ প্ল্যানসহ প্রতি ১৫ দিন পর পর ফলোআপসহ সার্ভিসসমূহঃ
> অনলাইনে ভিডিও কাউন্সেলিং / সরাসরি কাউন্সেলিং
> ফুডহ্যাবিট ও লাইফস্টাইল কাউন্সেলিং
> কাউন্সেলিং পরবর্তী পছন্দের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে ডায়েট প্ল্যান (প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ডায়েট প্ল্যান মেনে চলার সহজ উপায়)
> ঘরে/কর্মক্ষেত্রে দেহের অবস্থা বুঝে এক্সারসাইজ প্ল্যান (সরাসরি ব্যায়াম শেখা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে এক্সারসাইজের ভিডিওর মাধ্যমে)
> লো ক্যালরি রেসিপি
> প্রয়োজনে অনলাইনে যোগাযোগ ব্যবস্থা
> ১৫ দিন পর পর ফলোআপ
> প্রয়োজন বুঝে ডায়েট প্ল্যান মডিফিকেশন
একেকটি কাউন্সেসেলিংয়ে দুই মাসব্যাপী উল্লেখিত সবগুলো সার্ভিস পাওয়া যাবে। কাউন্সেলিং পরবর্তী শারীরিক সমস্যা বুঝে ডায়েট প্ল্যান দেয়া হয়। ভুল ডায়েট এবং ভুল পরামর্শের কারণে ভুক্তভোগী অনেকেই প্রতিনিয়ত আমাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এমনকি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়ে যাওয়া, স্কিণ ঝুলে যাওয়া, এসিডিটি, মাথা ঘুরানো, প্রেসার লো হয়ে যাওয়া এমন অনেককেই আমরা পেয়েছি। সেজন্য সাবধান হওয়াও জরুরি।
ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত সমাধান ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন পরিকল্পনায় অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকেন। এজন্য অবশ্য, আমাদের সম্মানীত গ্রাহকদের কাছ থেকে আমরা সবসময় সুখবর পাই। আমাদের তেমন কোন প্রচার না থাকলেও যারা আমাদের পরিকল্পনায় সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন, তারা সবসময় আমাদের কাছে ভুক্তভোগী রোগীদের রেফার করছেন। যা সত্যিই মানুষকে সুস্থ রাখার মিশনে আমাদের সাফল্যের অন্যতম অধ্যায়। এ সাফল্যযাত্রায় এ প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যৎ কর্মকান্ড আরো তরান্বিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে।
অনেকেই না জেনে সহজলভ্য ইন্টারনেটে পাওয়া ভুল খাদ্যাভ্যাসে বা ডায়েটে অভ্যস্ত হচ্ছেন। যার কারণেও দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিজেই তৎপর হন। একেকজনের শরীরের ধরণ একেকরকম। শরীরের ধরণ বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারলে আপনি হতে পারেন নিরোগ, তরুণ ও দীর্ঘজীবি।
কাউন্সেলিং পরিচালনায় থাকবেন:
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
এপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন:
ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
২৮, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলামোটর, ঢাকা।
হেল্পলাইন: ০১৭১৮৯০২৭২৪, ০১৯১২০১৩৬৯৬
[email protected]
www.dietcounselingcentre.com
Diet Counseling Centre - ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.