গ্রীষ্ম মৌসুমের খুব অল্প সময়ের জন্য জাম খাওয়া যায়। জামের মতো জামের বীচির গুণাগুনও অনেক। খুব কম সময়ে পাওয়া যায় বলে দীর্ঘ সময় গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তা-ই বহুদিন গ্রহণ করতে জামের বীচি খুব সহজে সংরক্ষণ করা যায়। কারণ জামের মতো জামের বীচিও অনেক গুণের অধিকারি।
- জামের বীচির জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজ বা বীচি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। এর উপকারী প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- জামের বীচির অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডাইউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে। এর হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
- জামের বীচিতেও ক্যান্সার প্রতিরোধক বর্তমান
জামের বীচি সংরক্ষণের উপায়:
জাম ধুয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। আস্তে আস্তে আঙুল দিয়ে ফল থেকে বীচি ছাড়িয়ে নিন। আলাদা করা বীচি গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন যাতে বীচি বা বীজের গায়ে কোনো শাঁস না লেগে থাকে। একটি পাতলা পরিষ্কার সুতি কাপড়ে বীচি বা বীজগুলোকে ছড়িয়ে দিন। এমনভাবে ছড়িয়ে দিন যেনো একটার সঙ্গে আরেকটা না লেগে থাকে। সরাসরি রোদের আলোতে ৩ থেকে ৪ দিন দিন শুকোতে দিন। ভালোভাবে শুকালে বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের সবুজ অংশ বের করে নিন। সবুজ অংশটি সহজেই তখন আঙুলের চাপে ভেঙে যাবে। সবগুলো বীচি বা বীজ আবার ৩-৪ দিন কড়া রোদে শুকোতে দিন। এবার শুকনো বীজগুলো হামানদিস্তায় বা বেটে ভালো করে গুঁড়ো করে নিন। চালনি দিয়ে গুঁড়োগুলো চেলে নিন। এরপর জামের বীচি বা বীজের গুঁড়ো একটি এয়ারটাইড বয়ামে রেখে দিন। ফ্রিজে রাখলে ৬-৭ মাসও সংরক্ষণ করা যায়।
খাওয়ার নিয়ম: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ জামের গুঁড়া মেশাতে হয়।
জামের উপকারির কথা চিন্তা করে স্বল্প সময়ের এ ফলের বীজ সংরক্ষণ করেও বহুদিন খাওয়া যায়।
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.