পর্ব-২
অনেকেই প্রশ্ন করেন, “কিছুদিন আগে আমি ইন্টারনেট দেখে নিজে নিজে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করেছিলাম। খুব দ্রুত ওজনও কমেছিলো। কিন্তু স্বাভাবিক খাবারে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার ওজন বেড়ে গেছে। এটা কেনো হলো?” তখন স্বাভাবিক প্রশ্ন হলো, “ডায়েট কীভাবে করেছিলেন”? উত্তরে যা আসে তাতে হতভম্ব না হয়ে কোনো উপায় থাকে না। তিনি দেখেছেন সারাদিনে বাধাকপির স্যুপ খেলে খুব সহজেই ওজন কমে যায়। এর পাশাপাশি হয়তো তিনি কিছুটা মাংস, ডিম বা বাদাম রেখেছেন। পর্যাপ্ত পানিও তিনি খেয়েছেন। সারাদিনে সর্বসাকুল্যে ১০০০ কিলোক্যালরির চেয়েও কম ক্যালরি তিনি গ্রহণ করেছেন। এতে তার দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট খুব দ্রুত গলে যায়। কিন্তু অন্যদিকে এ ডায়েটের মাধ্যমে তার দেহের বিপাকীয় ক্রিয়াকে তিনি নিজেই খুব ধীরে করতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। সেজন্য তিনি যখন আবার স্বাভাবিক খাবারে আসেন তখন বিপাক কার্য খুব ধীরে ধীরে হয়। এতে খুব সহজেই তিনি আবার আগের সেই অতিরিক্ত ওজন দ্রুত ফিরে পান।
১০০০ কিলোক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করে ওজন কমালেই যে এমনটা হবে, তা নয়। একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ যদি ১০০০ কিলোক্যালরির একটা ডায়েট প্ল্যান তৈরি করেন তখন তিনি প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ব্যালেন্স করে দিয়ে থাকেন। এতে বিপাকীয় কার্যাবলী আরো দ্রুত হতে সক্ষম হয়। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ এবং স্বাভাবিক হাঁটাচলার চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে হাঁটলেই তিনি তার কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারবেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মানে হলো আপনাকে কোনো অস্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্থ হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। যার জন্য ওজন কমে যাওয়ার পর স্বাভাবিক খাবারে আসারও প্রয়োজন হয় না। তখন কেবল দেহের অবস্থা বুঝে ক্যালরি অ্যাডজাস্ট করে দিতে হয়। এ কাজটা কখনোই পুষ্টিবিদ ছাড়া অন্য কারো জানা বা বোঝার কথা নয়। তা-ই নিজের স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সুরক্ষায় নিজে নিজে ডায়েট না করে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের স্মরণাপন্য হোন।
লিখেছেন
সৈয়দা শারমিন আক্তার, প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.