পর্ব-৪
দিনের প্রথম খাবার গ্রহণে অনেকেরই অনিহা রয়েছে। স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের মানুষজনও কখনো বলে থাকেন ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে কিছু খাওয়া যায় না। ঘুম থেকে জেগে ওঠার ২ থেকে আড়াই ঘন্টা আগে থেকে পাকস্থলীতে প্রাকৃতিক ভাবেই হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিঃসরণ হয়। যার জন্য বেশিরভাগ সময় জেগে উঠলে পেট ভরা বলে মনে হয়। পর্যাপ্ত ঘুম বিপাক কার্যকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে। কোনো কারণে পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও এমনটা মনে হতে পারে। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে খালি পেটে পানি পান ও দম চর্চা দেহের বিপাকে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি কিছুটা হাঁটাচলা বা হালকা ব্যায়াম করলে খুব সহজে ভালোভাবে প্রাতঃরাশ করা যায়। সকালের ২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম দেহকে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত কর্মক্ষম রাখতে সক্ষম। সুস্থতার মূল লক্ষ্য প্রাতঃরাশে পরিপূর্ণ আহার। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত, যারা প্রতিদিন সকালের খাবার পরিপূর্ণ খেয়ে থাকেন, তাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার সম্ভবনা বেশি।
ভুল ডায়েটিংয়ে অনেকে সকালে হয়তো ১ কাপ চা/কফি আর একটা ডিম, অথবা ১টা ফল খেয়ে থাকেন। সকালে অর্থাৎ প্রাতঃরাশ কম খেলে দিনের অন্যান্য সময়ে অতিরিক্ত ক্ষুধার সৃষ্টি করে। কাজের সময় ক্ষুধার্ত থাকার কারণে অধিক ক্যালরি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত যে সকালের খাবার অধিক প্রোটিন ও খাদ্যআঁশযুক্ত হলে সারাদিনেই অতিরিক্ত ক্ষুধার জন্ম দেয় না। ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থার উপর এবং সারাদিনের কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে তার সকালের খাবার। একজনের দেহের সমস্যা যেমন আরেকজনের থেকে ভিন্ন হয়, তেমনি একজনের ডায়েট প্ল্যান আরেকজনের জন্য কখনো প্রযোজ্য নয়। সুস্থতা ও সঠিক ডায়েটিংয়ের জন্য অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলুন।
লিখেছেন
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.