পর্ব ৫
সারাদিনের খাদ্যগ্রহণে অনেকে আছেন অল্প অল্প খাবার কিছুক্ষণ পর পর খেতে থাকেন। যেমন: ছেলের আইসক্রিম থেকে ১ টুকরা নেয়া, বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর যতটুকু রয়ে গেলো সেটা খেয়ে নেয়া, ফ্রিজে কিছু থাকলে সেখান থেকে খাওয়া, খাবারের জিনিস কীভাবে ফেলবেন সেটা ভেবে খেয়ে নেয়া হয়। এতে দেহের বিপাক কাজ সারাদিনই চলমান প্রকৃয়ায় চলতে থাকে। এ টুকরো খাবারগুলো গণনা করা হলে দেখা যাবে, স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি আরো বেশখানিকটা ক্যালরি প্রয়োজন ছাড়া দেহে প্রবেশ করছে। অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ দেহের ক্ষতি সাধনের একটি মাধ্যম হয়ে যায়।
ডায়েটিংয়ে অনেকেই রয়েছেন, যারা হয়তো কোনো এক-বেলার খাবার বর্জন করছেন। আবার অন্যদিকে সন্তানকে খাবার দেয়ার সময় পুরোটা না খেলেও টুকরো খাবার খেয়ে নিচ্ছেন। টুকরো খাবার ক্যালরিবহুল হলে যে-বেলার খাবার বাদ দিলেন, তারচেয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি দেহে যোগ হয়ে যায়। সুস্থ ডায়েটিংয়ের কিছু নিয়ম রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। ৩ বেলা কিছুটা ভারী খাবার আর ৩ বেলা হালকা। যেটা ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল্সযুক্ত খাবার হবে। এতে দেহের বিপাক, হজম প্রকৃয়া ও শোষণকার্য সঠিকভাবে হয়। বিপাক সঠিকভাবে হলে দেহ সহজে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হয় না। অনেকে মনে করেন নিয়ম করে ৬ বেলা খাবার গ্রহণ করা একটা ঝামেলার কাজ। আসলে মোটেও তা নয়। জীবনযাত্রার সঙ্গে মিল রেখে খাদ্যাভ্যাস করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। ডায়েটিংয়ে অতিরিক্ত আয়োজনের প্রয়োজন হয় না। একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ খুব সহজেই জীবনযাপনের ধরণ বুঝে এবং শারীরিক সমস্যার উপর ভিত্তি করে, সহজ পদ্ধতিতে মৌলিক খাদ্যগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে, একটি ডায়েটারী প্ল্যান করে দিতে পারেন। যা পালনে আপনাকে কোনো সমস্যায় পরতে হবে না। খাবারের পাশাপাশি কীভাবে অ্যাক্টিভিটিস বাড়াতে পারেন, সেটাও করে দেয়া যায়। অর্থাৎ ফুডহ্যাবিট ও লাইফস্টাইলের সামান্য মডিফিকেশনেই আপনি পেতে পারেন একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।
লিখেছেন
সৈয়দা শারমিন আক্তার, প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.