পর্ব-২
যেহেতু দ্রুত সনাক্ত হলে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পূর্ণ সেরে যায়, সেজন্য জানা প্রয়োজন কোন পর্যায়ে বা কি লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্য হতে হবে। নিজেই হাত দিয়ে চেপে চেপে অথবা দেখেও সনাক্ত করতে পারেন কিছু বিষয়:
- স্তনে চাকা বা পিণ্ড দেখা যাওয়া বা চাপ দিলে ছোটো ছোটো চাকা অনুভব করা
- স্তনের বোঁটার কোন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে- যেমন ভেতরে ঢুকে যাওয়া বা অসমান বা বাঁকা হয়ে যাওয়া
- স্তনের বোঁটা থেকে পানি বা সাদা জাতিয় অস্বাভাবিক রস বের হলে
- স্তনের চামড়ার রং বা অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হলে
- হাতের বগলের নীচে ছোটো ছোটো কোনে পিণ্ডের মতো বা চাকা চাকা দেখা গেলে
- স্তনের বোটায় ঘা বা ক্ষত বা এরিওলা অংশে চুলকানি
- স্তনে ব্যথা বা লাল হয়ে গেলে
- ব্যথা ছাড়া ফুলে থাকলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
বয়স বাড়ার সাথে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। আগে থেকে সাবধান না হলে তখন আর করার কিছু থাকে না।
ঘরে যেভাবে পরীক্ষা করা যায়-
গোসলের সময়: গোসলের সময় ভেজা চামড়ার উপর আঙুল চ্যাপ্টা করে ধীরে ধীরে চাপ দিন। বাঁ দিকের স্তনের জন্য ডান হাত ও ডান দিকের জন্য বাঁ হাত ব্যবহার করুন। এসময় খেয়াল করুন কোনো চাকা, গুটি বা শক্ত দলার মতো কিছু অনুভূত হয় কি না।
আয়নার সামনে: প্রথমে হাত দু'পাশে কাধ বরাবর সোজা রাখুন। তারপর হাত দুটি সোজা করে মাথার উপর তুলুন। এবার সতর্কভাবে লক্ষ্য করুন যে, স্তনবৃন্ত বা অন্য কোনো অংশ ফুলে আছে কি না অথবা কোনো অংশে লালচে ভাব বা টোল পড়া অংশ আছে কি না।
এবার হাত নামিয়ে কোমরে হাত রাখুন। এখন ডান ও বাম স্তন দুটোই ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। কোনোরকম অস্বাভাবিক পরিবর্তন চোখে পড়ে কি না খেয়াল করুন। প্রতিনিয়ত এই পরীক্ষা করলে স্তনের স্বাভাবিক অবস্থা বোঝা যাবে ও অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হলেও চিকিৎসকের পরার্শ নেয়া হবে।
ফ্লোরে বা সমান স্থানে শুয়ে: মাটিতে অথবা বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে নিন। এরপর ডান স্তন পরীক্ষার জন্য ডান দিকে ঘাড়ের নিচে একটি বালিশ বা ভাঁজ করা কাপড় দিয়ে উঁচু করুন, এসময় ডান হাত মাথার পেছনে রাখতে হবে। এবার বাম হাতের আঙুলগুলো চ্যাপ্টা করে ডান স্তনের উপর রাখুন। চক্রাকারে হাত ঘোরানো শুরু করুন। যদি স্তনের নিচের অংশ কিছুটা শক্ত মনে হয়, এটা স্বাভাবিক বিষয়। এভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়েও স্তন পরীক্ষা করা যায়। অস্বাভাবিক কিছু মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
কিছুদিন পর পর সচেতনতার জন্য নিজেই নিজের পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
কপিরাইট
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.