গতিশীলতা নির্ভর করে দেহ কতটুকু কাজ করতে সক্ষম তার উপর। গতিশীলতা ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও মনের বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্যগত ও মানসিক যে কোনো বিপর্যয় মানুষের আস্থা বা ঘরের বাইরে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার ইচ্ছা নষ্ট করতে পারে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যে কোনো আগ্রহ বা শখ যেমন হাঁটা বা ব্যায়াম, এধরণের প্রতিদিনকার একটা অভ্যাস মানসিক কারনে বন্ধ হতে পারে। বন্ধ করার ফলে হয়তো বেশিরভাগ বাড়িতেই থাকা এবং সাবধানে বা ধীর গতিতে নড়াচড়া করা অর্থাৎ আরও থেমে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। দিনে দিনে চলাফেরার এই ধীর গতি স্বাস্থ্য সমস্যাকে আরও খারাপ করতে পারে। এতে পারিবারিক বা সামাজিক সরাসরি যোগাযোগগুলো আরো কমে যেতে পারে। যা হয়তো মনের উপর বিষন্নতার পাহাড় গড়ে তুলবে। এতে মেজাজ-মর্জিও ঠিক থাকে না। প্রতিদিনের সময়সূচী অনুসরণ করা বন্ধ হয়ে যায়। দুর্বল খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে পড়ে ওজন বেড়ে চলাচলে আরো বাধা হয়ে দাঁড়ায়, অথবা খুব কম খাওয়া এবং খাদ্যশক্তি কম গ্রহণে দূর্বলতা দেখা দেয়।
কম চলাফেরার এই চক্র, দুর্বল মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্য, এবং শারীরিক অবনতি জীবনের পরিবর্তন থেকে আসতে পারে-যেমন অপ্রত্যাশিত কোনো দুঃসংবাদ। মানুষের মন, মেজাজ এবং গতিশীলতা অভ্যন্তরীণভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক ব্যস্ততা বজায় রাখা সুস্থতার পূর্বসর্ত। দেহের গতিশীলতা বাড়াতে খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। খাবারের পাশাপাশি নিজেকে গতিশীল করতে মানসিক স্বাস্থ্যের খাবারও অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দেহের গতিশীলতা নির্ভর করে।
কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন বিভিন্ন জাতের বাদাম বিশেষ করে আখরোট, ডাল, বীজ, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি, সামুদ্রিক মাছ, দই, বেরিজাত ফল, টমেটো ইত্যাদি। প্রতিদিনের খাবারে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার খাবারগুলো অন্তর্ভূক্ত রাখলে মানসিক সমস্যা কখনো শারীরিক গতিশীলতা রক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
লেখক
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.