আবহাওয়া অতিরিক্ত উত্তপ্ত হলে শরীর মন কিছুই ভালো লাগে না। একটু স্বস্তির জন্য সবার যেনো চেষ্টার কোনো কমতি নেই। অতিরিক্ত উষ্ণ আবহাওয়ায় অনেকরকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডি-হাইড্রেশনের পাশাপাশি মাসল ক্রাম্প, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, হতাশা, মেজাজ খারাপ থাকা, এমনকি হিট স্ট্রোকও হতে পারে। কিছু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে যে কোনো ব্যক্তি উষ্ণ আবহাওয়া থাকলেও নিজেকে ঠাণ্ডা রাখতে পারেন।
- দেহের পানিসমতা বজায় রাখতে স্বাভাবিক পানি পানের চেয়ে আরো ১ লিটার পানি বেশি পান করুন। পানি পানের জন্য বাইরে যেতেও পানি নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরে পানি নেয়ার সময় পানির বোতল সুতি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে নিন। এতে বোতলের পানি ঠাণ্ডা থাকবে। পানির চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ হচ্ছে কিনা দেখার জন্য প্রস্রাব পর্যবেক্ষন করুন। বেশি গরম লাগলে সরাসরি ফ্রীজের ঠাণ্ডা পানি না খেয়ে স্বাভাবিক পানিতে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে খাওয়া ভালো। পানীয় হিসেবে কোমল পানীয় উষ্ণ আবহাওয়ায় না খাওয়াই ভালো।
- বাংলাদেশের আবহাওয়ায় অতি আর্দ্রতার জন্য প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে প্রচুর লবণ পানি বেরিয়ে যেতে পারে। খাবার পানি পানের সময় মাঝে মাঝে লবণ মেশানো পানি বা ফলের জুস খেতে পারেন। যেমন শসার জুসে সামান্য লবণ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- খাবার হিসেবে শরীর ঠাণ্ডা রাখে এধরণের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন সালাদ, ফল অর্থাৎ তাজা কাঁচা খাবার, শাকসবজি বেছে নিন। যেসব ফল বা সবজিতে পানির পরিমাণ বেশি সেগুলো গ্রহণ করা উত্তম। যেমন শসা একটি শীতল সবজি। যা আপনাকে ঠাণ্ডা রাখতে ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। কিছু কিছু খাবার যেমন প্রানীজ প্রোটিন বহুল খাবার কম খাওয়া ভালো। কারণ প্রানীজ প্রোটিন বিপাকের ফলে দেহে তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যা দেহ থেকে পানির অপচয় বাড়াতে পারে। তাছাড়া একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প খাবার বারে বারে খাওয়া ভালো। যারা চুলায় রান্না করছেন, তাদের আবহাওয়ার উষ্ণতার সাথে আবার চুলার আগুনের তাপ যোগ হয়। তাই চুলায় রান্না করা কমিয়ে তাজা খাবার খাওয়া ভালো। তেলেভাজা, ফাস্টফুড, রিচফুডজাত খাবার কমিয়ে গ্রহণ করুন।
- বাইরে গেলে ছাতা, সানগ্লাস, ক্যাপ ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে গাছের ছায়ায় বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। অসহনীয় রোদের আলো সরাসরি গায়ে লাগাবেন না।
- অল্প জায়গায় বেশি মানুষের সমাগম এড়িয়ে চলুন। ঘরে বাতাস প্রবাহের সুবিধা রাখুন।
- হাঁটা একটি সামগ্রিক ব্যায়াম। বেশি রোদে না হেঁটে ভোরে অথবা সন্ধ্যার আগে বা পরে হাঁটার চেষ্টা করুন। সবসময় পানির ব্যবস্থা রাখুন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে সামান্য লবণ মেশানো পানি ও জুস পানের চেষ্টা করুন।
সৈয়দা শারমিন আক্তার
প্রধান পুষ্টিবিদ, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.