কম ওজন নিয়ে জন্মানো এক শিশু, নাম মোহাম্মদ হাসান রেজা। তার জন্ম ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০১৭ সালে। তখন তার জন্মওজন ছিলো ২ কেজি ৫০০ গ্রাম। প্রাকৃতিক নিয়মেই জন্মের সাথে সাথেই নবজাতকের কান্নাকাটি করার কথা। কিন্তু এই নবজাতকের জন্মের পর থেকে কোন কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়নি। দিন দিন আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিলো। তখন বাচ্চাটি বেঁচে থাকলেও একবারের জন্যও মায়ের দুধ খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। ঘন ঘন শ্বাস কষ্টে ভুগছিলো। এভাবে জন্মের পর থেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে ৭ মাস অক্সিজেন এবং এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়ার মাধ্যমে। ৭ মাস পর তার ওজন হয়ে গেলো ১ কেজি ৩শ গ্রাম। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে ৩ বছর ৭ মাস অ্যান্টিবায়েটিকসহ চিকিৎসা চলতে থাকে। তাতে দেখা গেলো আড়াই বছরে মোহাম্মদ হাসান রেজা বসতে শিখেছে। আর সাড়ে ৩ বছরে একটু একটু করে হাঁটতে শিখেছে। এ অবস্থায় তার ওজন বেড়ে যেতে থাকে। ২০ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যেতে থাকে। অক্সিজেন দিলে কিছুটা ভালো থাকে, আর বন্ধ করলে নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে। তখন তার ওজন হলো ৩৭ কেজি। আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।
তখন আরো কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়-
1. Sleep apnea.
2. Prader willi syndrome
3. Development delay
4. Moderate pulmonary hypertension.
এ অবস্থায় শিশুর ওজন কমানো জরুরি হওয়ায় হাসান রেজার মা-বাবা আমাদের শরণাপন্ন হন...
---- - - ---------- ------ --- --- ----
হাসান রেজার উপরোক্ত সমস্যাগুলি ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারে আসার পূর্বে দেখা দেয়-
ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারে যখন মোহাম্মাদ হাসান রেজা আসলো তখন তার পরিস্থিতি ছিলো এক কথায় ভয়াবহ। সে চেয়ারে বসতে পারছে না, ওজন মাপার মেশিনে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও সমস্যা হচ্ছে, শ্বাস নিতে গেলে সমস্যা, ভেতর থেকে শব্দ হয়, কোনো কথা বা অক্ষর ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারছে না, মাথা সোজা করে রাখতে পারছে না, এমন। তার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারনে খাবার গ্রহণের চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়।
এ অবস্থায় ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারে আসার পর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাকে নির্দিষ্ট ডায়েটের পাশাপাশি ফলোআপ শুরু হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত (ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি) আমাদের ফলোআপে রয়েছে। তার মা-বাবা দুজনকেই হাসান রেজার সুস্থতায় তার খাবার ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ী করণীয় সব বিষয়, ব্যবস্থার কথা বিস্তারিত জানানো হয়। তার মা বাবা খুবই হেল্পফুল ছিলো। ছোটো মানুষ। তার সুস্থতাই আমাদের একমাত্র কাম্য ছিলো। আল্লাহ'র অশেষ রহমতে বর্তমানে তার ওজন ৫ কেজি কমেছে। হাঁটাচলা, দৌড়াদৌড়ি, চঞ্চলতা সাধারণ শিশুদের মতই। এখন সে চেয়ারে নিজে বসে, নিজের হাতে খেতে পারে। মাশাল্লাহ। এমনকি চামচের সাহায্যেও সে খেতে পারে। যে শিশু একসময় একেবারেই কোনো কথা বলতে পারতো না। এখন অ, আ, ই, উ, ও অক্ষরের সুস্পষ্ট উচ্চারণ, আব্বা, আম্মা, আল্লাহ এগুলো সব বলতে পারে। নিজের ব্যাগ নিজে ক্যারি করতে পারে। সবাইকে সামনে বসিয়ে টিচারের মতো পড়াতে পারে। স্বাভাবিক একটিভিটি বেড়ে গেছে। তার মা-বাবা দুজনই পেশায় শিক্ষক। ছেলের এই পরিবর্তনে আমাদের সাথে সাথে তার মা বাবা, পরিবার খুবই খুশী। তাকে আরো পথ পাড়ি দিতে হবে। এই পথ পাড়ি দিতে আমরা তার পাশেই থাকবো।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্য আরো ব্যতিক্রমী ঘটনা রয়েছে আমাদের দীর্ঘ ১৮ বছরের অভিজ্ঞতায়। যা হয়তো ধারাবাহিকভাবে প্রচার হবে স্বাস্থ্য সচেতনতায়। মানুষের কল্যাণে এমন ঘটনাগুলোর সঙ্গে আমরা সবসময় পাশে থাকতে চাই।খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনে সচেতন হতে আপনার নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আজই আপনার প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন।
অনলাইন অথবা সরাসরি সাক্ষাতের জন্য এ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন ০১৯১২০১৩৬৯৬ এই নম্বরে। www.dietcounselingcentre.com
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.