গ্রীষ্মকালে তাপের বৃদ্ধি ও আদ্রতার জন্য আমাদের শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। দেহে পানির চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়। প্রকৃতি যেন মানব কল্যাণে আবহাওয়া অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে সব রসালো ফলের সমাহার করে থাকে। গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলা হয়। কারণ বেশিরভাগ রসে ভরা এবং মুখরোচক ফলগুলো এ ঋতুতেই জন্মে থাকে। যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, বাঙী, তাল, বেল ইত্যাদি।
আম পছন্দ করে না এমন ব্যক্তি পাওয়া খুব দুষ্কর। কাঁচা থেকে পাকা অথবা আঁচার বানিয়ে পালাক্রমে মানুষ আম খেয়ে থাকে। বিভিন্ন জাতের আম রয়েছে। ল্যাংড়া, গোপালফোগ, হাড়িভাঙ্গা, ফজলি, হিমসাগর, লাখনা, আম্রপালী আরো কত কি! প্রত্যেক জাতের আম স্বাদ-গন্ধে আলাদা হয়ে থাকে। স্বাদের দিক থেকে সবধরণের আম-ই মজাদার। কাঁচা অবস্থায় আম-ডাল খাওয়া হয়নি এমনটা খুব একটা পাওয়া যাবে না। কাঁচা আমের বিভিন্ন রকম আঁচারও আমরা বানিয়ে থাকি।
পাকা আমের পুষ্টিগুণ অনেক। ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। মিষ্টিস্বাদযুক্ত ১০০ গ্রাম আমে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১২গ্রাম। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। পরিমাণ না বুঝে পাকা আম খেলে ব্লাড গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিক পেশেন্টদের দেখা যায়, ভাত না খেলেও আম খেতে যেনো বদ্ধপরিকর। আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও বেশি থাকে বলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। কোলেস্টেরল কমানোর উপকারী ফাইবার পেকটিনও আমে রয়েছে। এই ফাইবার কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। দেহের পানি সমতা রক্ষায়ও আমের গুরুত্ব অনেক। ম্যালিক ও টারটারিক অ্যাসিড থাকায় দেহের ক্ষারিয় মাত্রা সঠিক পরিমাণে রাখতে সাহায্য করে।
শারীরিক সমস্যা বুঝে কতটুকু বা কি পরিমাণ আম খাওয়া যাবে, তা একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শে গ্রহণ করা প্রয়োজন। আম কিছুটা লম্বা সময় ধরে বাজারে পাওয়া যায়। তা-ই পাকার আগে কৃত্রিম উপায়ে পাকা আম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পুষ্টিবিদের পরামর্শের জন্য হেল্পলাইন 01912013696.
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.