আজ বিশ্ব দুধ দিবস। জেনে নেই দুধ কেনো খাওয়া প্রয়োজন।
দুধের প্রয়োজন সর্বদা। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। মায়ের পেটে যখন একটি শিশু থাকে তখন থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত দুধের প্রয়োজন রয়েছে। কেবল শরীরের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়। দুধের অনেকরকম নাম রয়েছে। যেমন: ননিযুক্ত, লো-ফ্যাট, ল্যাকটোজ ফ্রি ইত্যাদি। যার যেভাবে প্রয়োজন চাইলে সেভাবেই দুধ খাওয়া যায়। অনেকেই আছেন যারা সরাসরি দুধ খেতে পছন্দ করেন না, তারা চাইলে দুধের তৈরি খাবার খেতে পারেন। কারণ দুধ বহুমুখী উপায়ে খাওয়া যায়। যেমন: দই, লাসসি, মিল্কশেক, পুডিং, ফিরনি, সেমাই, বিভিন্ন রকম পিঠা, স্মুদি, ওটমিলের সাথে, চা-কফি তো আছেই, এমনকি স্যুপেও দুধের ব্যবহার রয়েছে।
আমরা জানি ভিটামিন এ দেহে শোষণের জন্য তেলের প্রয়োজন হয়। আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। আমের ভিটামিন এ কাজে লাগানোর জন্য যদি আমদুধ খাওয়া হয়, তাহলে খুব সহজে আমের ভিটামিন এ আমাদের শরীরে কাজে লাগে।
পুষ্টিগুণে ভরপূর দুধে চর্বির পরিমাণ কম-বেশি করে ক্যালরি কমানো-বাড়ানো যায়। দুধে ক্যালসিয়াম প্রায় ২৮% বর্তমান। ভিটামিন ডি ২৪% থাকে। তবে গো-চারণ ভূমিতে রোদে ঘাস খাওয়া গরুর দুধে ভিটামিন ডি আরো ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। ভিটামিন বি-র ভালো উৎস দুধ। দুধে আরো কিছু খনিজ উপাদান যেমন পটাসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক রয়েছে। দুধে লিনোলিক অ্যাসিড (অত্যাবশ্যকিয় ফ্যাটি এসিড) এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তবে ঘাষ খাওয়া গরুর দুধে এর পরিমাণ বেশি। দুই ধরণের প্রোটিনের মধ্যে প্রায় ৮০% ভাগই কেজিন প্রোটিন আর ২০% হোয়ে প্রোটিন। দু-টোয় অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়। দুধ আমাদের শরীর রক্ষণাবেক্ষণ, ক্ষয়পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ, হাড় ভালো রেখে শরীর সুস্থ রাখে।
দুধে অনেকের অ্যাসিডিটি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠাণ্ডা দুধ বা দুধে কিছু বরফ কুচি দিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি হয় না। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সি থাকলে, ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ খেলে কোনো সমস্যা হয় না।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী কে কীভাবে কতটুকু দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাবেন তা জেনে নিন।
এপোয়েনমেন্টের জন্য হেল্পলাইন 01912013696.
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.