সারাদিনের তুলনায় সকালের খাবারের পরিমাণ বেশি রাখুন। বেশির ভাগ মানুষেরই কর্মব্যস্ততার কারণে সকালের খাবারে খুব অনিয়ম হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবার তাড়াহুড়ার কারণে না খেয়ে স্কুলে যায়। অফিসে যারা কাজ করেন তাদের বেশির ভাগই না খেয়ে কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবার খেয়ে অফিসে যান। আর বাড়ির গৃহিণীরা সন্তান এবং গৃহকর্তার খাবার তৈরিতে এত ব্যস্ত থাকেন যে বেশিরভাগ সময়ে নিজেদের খাবারের কথা ভুলেই যান। এ সব কিছুর প্রভাব হিসেবে এসিডিটি একটা সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হচ্ছে ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা কমে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিংবা হার্টের সমস্যা। বর্তমান লাইফস্টাইল বিবেচনা করলে দেখা যায় ঘরে বা বাইরে সব ক্ষেত্রেই সকালের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজের চাপ বেশি থাকে। আবার দুপুরের পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে। যেহেতু সকালে খালি পেট থাকে, আবার সেভাবে প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করার পর খাবার গ্রহণ করে, তখন ইতোমধ্যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে। খালি পেটে সব কাজ করায় প্রচুর ক্ষুধা লেগে যায়। ফলে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবেই খাবার খাওয়ার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে দুপুরের সময়ে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ কম কাজে লাগে এবং তা অতিরিক্ত মেদ হিসেবে দেহে জমা হতে থাকে ফলে তৈরি হয় স্থূলতা। কম বা বেশি যতটুকু খাবারই গ্রহণ করা হোক না কেন দেহে ওইসব খাবারের পরিশোষণ হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই দেহ সুস্থ থাকবে। নিরোগ, অধিক কর্মক্ষম, দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্যামিনা ধরে রাখার ক্ষমতা। নিজেকে সুস্থ রাখতে কাজের আগে বেশি খেলে কোনো সমস্যা হয় না। বর্তমান ব্যস্ততম জীবনযাত্রায় সকালে সারাদিনের তুলনায় পরিমাণে বেশি খাওয়া, দুপুরে সারাদিনের তুলনায় সবচেয়ে কম খাওয়া এবং রাতে মাঝামাঝি ধরনের খাবারে অভ্যস্থ হওয়া খুব জরুরি। তাছাড়া খেয়াল রাখতে হবে যেন রাতের খাবার গ্রহণ ঘুমানোর দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে হয়, এবং রাতের খাবার গ্রহণের পর অবশ্যই শুয়ে বা বসে কাটানো যাবে না। সকালের নির্দিষ্ট পরিমাণ আহার গ্রহণ ও ২০ মিনিটের ব্যায়াম একজন মানুষকে সারাদিনে অন্তত ১৬ ঘণ্টা কর্মক্ষম রাখতে সক্ষম।