বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে দুপুরে ভূঁরিভোজন অনেক দিনের একটি রীতি। সকালে কম খেয়ে যখনই আমরা দুপুরে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করি তখনই পাকস্থলির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেজন্য সারা দেহ কিছুটা নিস্তেজ হয়ে যায় এবং ক্লান্তি ভাব আসে। কাজের স্পৃহাও কমে যায় এবং বিশ্রাম নিতে ইচ্ছা করে। দুপুরের অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ ও ঘুম বা অতিরিক্ত সময়ের বিশ্রাম ওজনাধিক্যের অন্যতম কারণ। তাই সারাদিনের তুলনায় দুপুরের খাবার সবচেয়ে কম খাওয়া প্রয়োজন। কারণ দুপুরের পর কাজের পরিমাণ কমে আসে, ফলে ক্যালরি খরচও কম হয়। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ এবং এরপর পর্যাপ্ত ক্যালরি খরচ না হওয়ায় তা চর্বিতে রূপান্তরিত হয় এবং তাতে দেহের ওজনও বাড়িয়ে দেয়। তাই সারাদিনের আহারের মধ্যে দুপুরের খাবার অবশ্যই কম খাওয়া উচিত।