"এ পৃথিবীর যা কিছু মহান চির কল্যাণকর অর্থেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর"- নজরুলের এই বাণীতে নারী অর্ধেক অবস্থানে থাকলেও আসলে নারী আরও অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাইরের কাজের সাথে সাথে সাংসারিক দিকও সামাল দিতে হয়। শিশু পালন, সন্তানের লেখাপড়া, বাজার ঘাট এই বিষয়গুলোও আজকাল নারীকেই করতে হচ্ছে। এতসব দায়িত্ব পালনে নারী কতটুকু সুস্থ? একজন পরিশ্রমী নারী তার পরিবারের প্রতি সদস্যকে যেভাবে যত্ন নেন, সেভাবে নিজের প্রতি ঠিক ততটাই উদাসিন থাকেন। এ উদাসিনতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অপুষ্টি, শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নারীর সুস্বাস্থ্য খুব প্রয়োজন।
জীবনে মানুষের প্রতিটি ধাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় পরিবর্তন নারীর মধ্যে দেখা যায়। শুধুমাত্র এক জীবনেই নারীকে সাধারণ অবস্থা দেখা যায়, ৩টি ধাপে, যেমন: কন্যা-জায়া-জননী। এ পর্যায়গুলো সম্পূর্ণ বাহ্যিক ও সামাজিক বৈশিষ্ট্যের অংশ। দৈহিক এবং আভ্যন্তরীণ দিক থেকে নারীর পরিবর্তন একজন পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। যেমন- শিশু, কিশোরী (যে সময় মেয়েরা ঋতুবতী হয়), সন্তান সম্ভবা নারী বা গর্ভবতী মা, স্তন্যদাত্রী মা, ম্যানোপোজ (যে সময় নারীর ঋতু বন্ধ হয়ে যায়)- এ ধাপগুলো বিশেষভাবে লক্ষণীয়। যা পুরুষের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। নারীর জীবন ও দেহে এসব পরিবর্তনের জন্য তাদের আলাদা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতা প্রয়োজন। যা জীবনের প্রতিটি ধাপে ভিন্ন হয়ে থাকে।
নবজাতক কন্যা সন্তান হলে-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগেও একটি ছেলে সন্তান নিয়ে যতটুকু আগ্রহ বা আকর্ষণ থাকতো ততটুকু একটি কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে দেখা যেতো না। এ ধারনাটা বোধ হয় আজ অনেকাংশেই পাল্টেছে। মনে রাখতে হবে, সন্তান ভূমিষ্টের সঙ্গে সঙ্গে ছেলে বা মেয়ে যেই হোক না কেন এ সময় পুষ্টিগত চাহিদা একই থাকে। তখন সন্তানের পুষ্টিচাহিদা পূরণে সবচেয়ে বেশি দরকার মায়ের প্রথম শালদুধ বা কলস্ট্রাম। তবে দৈহিক যত্নে কিছুটা পরিবর্তন রয়েছে। যেমন কন্যা সন্তানের মুত্রনালী বা যোনী স্থান যেনো সবসময় পরিষ্কার থাকে সেটা বিশেষ নজর রাখতে হবে। পাতলা সূতি কাপড় গরম পনিতে ভিজিয়ে খুবই আলতো ভাবে সবসময় পরিষ্কার করে দিতে হবে।
চলবে...
If you have any queries please contact us
Please fill out the below details if you wish to receive a confidential call from our client relations team.